কারখানায় তৈরি মুরগীর মাংস বাজারে আসছে

অনলাইন ডেস্ক:
  • এবার কারখানায় তৈরি হয়েছে মুরগির মাংস। দুইটি এমন মাংস প্রস্তুতকারক সংস্থাকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। বুধবার অ্যামেরিকার প্রশাসন কারখানায় তৈরি মুরগির মাংস উৎপাদনে ছাড়পত্র দিয়েছে।

পরিবেশবিদেরা জানিয়েছেন, এই ধরনের মাংসের আরেকটি সমস্যা হলো, এটি তৈরি করতে বিস্তর কার্বন নিঃসরণ হয়, যা পরিবেশবান্ধব নয়। ফলে প্রাণীহত্যা না হলেও পরিবেশের জন্য এই ধরনের মাংস মোটেই খুব উপকারী নয়।প্রাণীর কোষ থেকে পরীক্ষাগারে এই মাংস তৈরি করা হয়েছিল। অর্থাৎ, প্রাণী হত্যা না করেই মাংস তৈরি সম্ভব বলে প্রমাণ করেছে দুইটি সংস্থা। পরীক্ষামূলকভাবে এমন মাংস তৈরি করে প্রশাসনের ছাড়পত্রের জন্য পাঠানো হয়েছিল। বুধবার তারা এমন মাংস বিক্রির ছাড়পত্র পেয়েছে।
যে দুইটি সংস্থাকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে, তাদের নাম আপসাইড ফুড এবং গুড মিট। অ্যামেরিকার ফুড অ্যান্ড ড্রাগ সংস্থা গত নভেম্বরেই এই মাংস তৈরির ছাড়পত্র দিয়েছিল। এবার প্রশাসনের কাছ থেকে চূড়ান্ত ছাড়পত্র মিলল। আপসাইড ফুডের সিইও উমা ভ্যালেটি জানিয়েছেন, এক নতুন যুগের শুরু হলো। তার কথায়, ”এক নতুন যুগের সূচনা হলো বলা চলে।”
কারখানায় তৈরি মাংস কী

কারখানায় তৈরি মাংসের জন্য প্রাণীহত্যার প্রয়োজন হয় না। জীবন্ত প্রাণীর শরীর থেকে সেল বা কোষ সংগ্রহ করতে হয় মাত্র। সেই কোষ স্টিলের ট্রাঙ্কের মধ্যে রাখা হয়। ঠিক যেভাবে প্রাণীকে খাওয়ানো হয়, ওই কোষকেও সেভাবে পুষ্টি দিতে হয়। ট্রাঙ্কের মধ্যেই ওই কোষ বড় হতে থাকে। নতুন কোষ তৈরি হতে থাকে। এবং ধীরে ধীরে একটি মাংসপিণ্ডের চেহারা নেয়। স্টেক, নাগেট, বোনলেস মাংস তৈরি করা সম্ভব এভাবেই। এর ফলে প্রাণী হত্যা হলো না কিন্তু মাংসও পাওয়া গেল। কারখানায় তৈরি মাংস বা কৃত্রিম মাংস। ২০২০ সালে সিঙ্গাপুরে প্রথম এভাবে মাংস তৈরি করা হয়েছিল।

তবে প্রাথমিকভাবে এই ধরনের মাংসের দাম সাধারণ মাংসের চেয়ে অনেকটাই বেশি হবে বলে মনে করা হচ্ছে। যে পদ্ধতিতে এই মাংস তৈরি হয়, তা খরচসাপেক্ষ। ফলে রাতারাতি অ্যামেরিকার বাজার এই ধরনের মাংসে ভরে যাবে, বিশেষজ্ঞরা এমনটা মনে করছেন না। এই মাংস সাধারণ মানুষের মধ্যে ছড়াতে সময় লাগবে।

Related posts

Leave a Comment